তামাং জনজাতির মানুষ মূলত গ্রামের বাসিন্দা, তারা গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। চাল, ভুট্টা, গম, মিলেটজাতীয় শস্য ইত্যাদি কৃষিজাত পণ্যের উপর এরা নির্ভরশীল। পাহাড়ের গায়ে ধাপ কেটে চাষ এবং স্থানান্তর কৃষিতে তামাংরা অভ্যস্ত। গোমাংস ভক্ষণে এই জনজাতি অভ্যস্ত। এরা খাদ্যশস্য বাইরে থেকে আমদানি করে না। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই পানীয় হিসেবে ‘রাক্ষী’ ও ‘জার’ পানের প্রচলন আছে। এই জনজাতি তিব্বতি থাঙ্কা অঙ্কনে পটু। এছাড়া মহিলাদের মধ্যে বাঁশের জিনিসপত্র তৈরীতে দক্ষতা দেখা যায়। বাড়িগুলি প্রধানত দোতলা, বর্গাকার অথবা আয়তাকার, দেওয়াল পাথর বা বাঁশের টুকরো দিয়ে তৈরী হয়। এরা যৌথ পরিবার প্রথায় বিশ্বাসী।
তামাংরা স্বভাবত সরল ও শান্তিপ্রিয় জনজাতি। এদের সমাজব্যবস্থা একটি সুগঠিত পরিষদের দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই সামাজিক সংগঠনটি ৮ জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব নির্দিষ্ট; বয়স ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দায়িত্বগুলি বণ্টিত হয়। এই ৮ জন সদস্য হলেন- চোচো (সভাপতি), মূলমি (গ্রামপ্রধান), নাগপ্তহা (তান্ত্রিক), দৌপথা (বিদ্বান ব্যক্তি), গাম্বা (বৃদ্ধ ব্যক্তি), তাম্বা (জাতির প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি), মূলমি গোর্গাই (গ্রামপ্রধানের সচিব) এবং বোনপো (পুরোহিত)। তামাং সমাজে তাম্বা-দের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘তাম্বা’ শব্দের বিশ্লেষণ করলে ‘তাম’ ও ‘বা’ শব্দ পাওয়া যায়, যাদের অর্থ যথাক্রমে কথন ও বক্তা। এরাই তামাং জনজাতির প্রাচীন উপকথা ও ইতিহাসকে লিপির অভাবে মৌখিকভাবে বহন করে চলেন। এছাড়া এরা ঐতিহ্যশালী তামাং রীতিনীতি সমন্বিত গান(হোয়াই) গুলিও স্মৃতিতে সংরক্ষিত রাখতেন।
তামাং জনজাতি দুটি প্রধান শাখায় বিভক্ত- বড়া তামাং (১২টি গোষ্ঠী) এবং আঠারো জাত (১৮টি গোত্র)। মরিসনের (১৯৩৩) মতে, বড়া তামাংরা নিজেদের আঠারো জাতের থেকে উচ্চ বংশের মনে করে এবং নিজেদের মহাদেবের উত্তরপুরুষ হিসেবে গণ্য করে। এই দুই শাখার আন্তর্বিবাহ একসময় প্রচলিত ছিল। বড়া তামাং শাখাটি ১২টি ভাগে (বাজু, বাল, দুমজান, ঘিসিং, গোলে ইত্যাদি) এবং আঠারো জাত শাখাটি তিনটি ভাগে (গোথার, নারবা ও সাংরি) তে বিভক্ত ছিল। সমগ্র তামাং সমাজে অসংখ্য গোত্রের সন্ধান মেলে, যেমন-ন কালদেন, তিদুং, বায়জু, গ্রাংদেন, দং, সাংদেন, সিংদেন, জিমবা, রুমবা, মিকচান, লামখোর, থিং, নাসুর, লোপচেন, চোতেন ইত্যাদি। বড়া তামাংদের শুদ্ধ রক্তের এবং আঠারো জাতদের মিশ্ররক্তের বলে গণ্য করা হয়।
তামাংদের প্রাচীনতম ধর্ম ছিল ‘বন’ ধর্ম (Bon religion)। অন্যান্য জনজাতির মতো এরাও জীবজন্তু ও প্রকৃতি পূজায় বিশ্বাসী ছিল। তামাং জনজাতি কৃষ্ণকায় বন-এর সাথে নিকট সম্পর্কযুক্ত ছিল। এই ধর্ম সাইবেরিয়া, তিব্বত, চীন ও জাপানের মোঙ্গল জাতির মধ্যে জনপ্রিয় ছিল; কালক্রমে তা তামাং জনজাতির মধ্যে স্থান করে নেয়। এই ধর্মমত অনুযায়ী ধর্মীয় স্থানগুলিতে কোন দেবদেবীর মূর্তি থাকতো না, কেবলমাত্র প্রদীপ, ঘণ্টা ও ত্রিশূল (trisula) থাকত। ধর্মীয় স্থান (alter) গুলি সাধারণত কোন বড়ো গাছের নীচে অবস্থিত ছিল। দেবদেবীর মূর্তির পরিবর্তে পাথর থাকত। তামাংরা প্রধানত পৃথিবী, আকাশ এবং মাটির নীচে অধিষ্ঠিত দেবতার পূজা করত। এছাড়া সমগ্র জাতির কল্যাণ কামনায় ‘হালসু’ নামে একটি বিশেষ পূজা হতো। এই পূজা লামাদের দ্বারা অনুষ্ঠিত হতো না, বনপো অর্থাৎ তামাং সমাজের নিজস্ব পুরোহিতরা এই পূজার পৌরহিত্য করতেন (মোক্তান ২০১৪; লামা ২০০৪)। তামাং ছাড়াও ভুটিয়া, লেপচা ও শেরপা জনজাতির মধ্যেও বন ধর্মের অনুসারী মানুষের দেখা পাওয়া যায়। তামাঙ ঐতিহ্য গুম্ফার কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে বর্তমানে অন্যান্য পাহাড়ি জনজাতির মতো তামাংরাও বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে এবং এর ফলে বনপো এর পাশাপাশি বৌদ্ধ পুরোহিত অর্থাৎ লামাদেরও প্রভাব বাড়ছে। লামাদের প্রধান আরাধ্য দেবতা বুদ্ধ, অপরদিকে বনপোদের প্রধান দেবতা ঘেসার গ্যালপো (Ghesar Gyalpo)। বনপো ও লামা ছাড়াও তামাংদের মধ্যে লাম্বু নামে তৃতীয় এক ধর্মীয় আচার বিশেষজ্ঞের সন্ধান পাওয়া যায় যিনি দেবতার কাছে জিনিসপত্র উৎসর্গ করার দায়িত্ব পালন করেন। তামাং লামাদের তিব্বতি লামাদের তুলনায় স্বভাব ও ধর্মাচরণ অধিকতর দুর্বিনীত। তামাং জনজাতির মধ্যে হিন্দুধর্মের প্রভাব নগণ্য।
তামাং জনজাতির মধ্যে পূর্বপুরুষের উপাসনার রীতি প্রচলিত। ‘খেপা-সুম’ (khepa-soom) নামে এই রীতিটি প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে তামাং পরিবারের প্রধান পালন করে থাকেন। পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে একটি পুর্ণবয়স্ক মোরগকে ‘ম্রাপসাং’ (Mrapsang) নামে একটি বিশেষ দরজার গোড়ায় বলি দিয়ে তার রক্ত পরিবারের পুরুষ প্রধান পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন। বিভিন্ন তামাং গোত্রের দেবদেবী এবং তাদের পূজাপদ্ধতি বিভিন্ন। তামাংরা বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে শিশুর জন্মের পাঁচদিন পর তার শুদ্ধিকরণ ও নামকরণের অনুষ্ঠান ‘মীন থানবা’ অথবা ‘থাপসাঙ’ (Meen Thanba/Thapsang) পালন করার রেওয়াজ ছিল। শিশুর জন্মের পাঁচমাস (কন্যাসন্তান) অথবা ছয়মাস (পুত্রসন্তান) পর তার অন্নপ্রাশন এর অনুষ্ঠান পালিত হয়, যা ‘কান-চাওবা/ কান-ওয়াবা’ (Kan Chawba/ Kan Waba) নামে পরিচিত। শিশু যাতে শীঘ্র কথা বলতে শেখে সেজন্য তাকে প্রথমবার ময়না পাখির ঠোঁটের সাহায্যে ভাত খাওয়ানোর রীতি তামাং সমাজে পালিত হয়।
বিবাহের জন্য তামাং সমাজে ছেলে বা মেয়ের সুনির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। তামাং সমাজে বিভিন্ন প্রকার বিবাহের চল আছে, যেমন- ‘মাগি বিওয়াহা’ অর্থাৎ সম্বন্ধ করে বিবাহ, ‘প্রেম বিওয়াহা’ অর্থাৎ ভালোবেসে বিবাহ, ‘চোরি বিওয়াহা’, ‘জারি বিওয়াহা’, ‘বিদুয়া বিওয়াহা’ (বিধবা বিবাহ) ইত্যাদি। ‘মাগি বিওয়াহা’ বা সম্বন্ধ করে বিবাহের ক্ষেত্রে ‘লামি’ অর্থাৎ ঘটক ছেলের বাড়ি থেকে বিবাহপ্রস্তাব নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যায়। তাম্বা অর্থাৎ তামাং সমাজের ইতিহাস ও রীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ঘটকের ভূমিকা পালন করেন। বিবাহ চূড়ান্ত হলে কন্যার বাড়িতে হাঁড়ি ভর্তি মিলেট জাতীয় শস্য, দুই বোতল দেশীয় মদ (কার্জেল পং), একটি পুর্ণবয়স্ক মোরগ, রান্না করা মাংস ইত্যাদি ভেট হিসেবে পাঠানো হয়।
তামাং জনজাতির কোনো মানুষ মারা গেলে মৃত্যুর আটঘণ্টা পর তাকে সম্পুর্ণরূপে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদেহকে ‘চায়দায়’ (Chaynday) বলা হয়। আটঘণ্টা পর মৃতদেহকে পবিত্র জলে স্নান করিয়ে ‘নামসা’ নামে সাদা কাপড়ে মুড়ে ‘লাসেম’ নামক মণ্ডপের সামনে বসানো অবস্থায় রাখা হয়। লামা মন্ত্রের মাধ্যমে দেবতার কাছে প্রার্থনার পর মরদেহকে কফিনে ভরে বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সমাধির জায়গায় এনে (নদীর ধারে) মন্ত্রোচ্চারণ ও ঘণ্টাধ্বনি সহযোগে অগ্নিসংযোগ করা হয়য়। তামাং জনজাতির বিশ্বাস অনু্যায়ী মৃত আত্মা ৪৯ দিন পৃথিবীতে অবস্থান করে। মৃত্যুর ৪৯ দিন পর ‘ঘেওয়া’/’কুথ-সেগু’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৃত আত্মার উদ্দেশ্যে তাম্বা ‘থুণ্ডা সোস’ অর্থাৎ খাবারের চিরাচরিত ব্যবস্থা করেন। প্রত্যেক আত্মীয় মৃতের উদ্দেশ্যে একমুঠো চাল ও একটি এক টাকার কয়েন উৎসর্গ করে মৃত আত্মাকে বিদায় জানান।
তামাং ভাষায় নিজস্ব লিপির অস্তিত্ব নেই, এই কারণে তামাং ভাষার সাহিত্যকর্মগুলি সবই মৌখিক। লিখিত, প্রামাণ্য ইতিহাসের অভাবহেতু বিভিন্ন লোককথা, উপকথা ও ব্যক্তিগত মৌখিক গদ্যেই এই জনজাতির প্রাচীন ইতিহাস সংরক্ষিত। ‘লাহিরি-সওয়াই’ (lahiri-sawai) নামক দু’লাইনে কবিতার আকারে রচিত লোককথাগুলিতে দৈনন্দিন ও আধ্যাত্মিক জীবনের অভিজ্ঞতার নিদর্শন পাওয়া যায়। ‘হোয়াই’ (whai) নামক লোকগানগুলিতে তামাংদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। পৃথিবীর সৃষ্টি সংক্রান্ত ‘হোয়াই’গুলি ‘তাম্বালা হোয়াই’ নামে পরিচিত (তামাং, ২০০৭)। বর্তমানে ‘হোয়াই’ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (সুর, তাল এবং বিষয়বস্তু) তামাং ‘সেলো’ (sello) নামক সাহিত্যের উদ্ভব ঘটেছে, যা নেপালি ভাষায় রচিত। গবেষকদের মতে ‘সেলো’ শব্দটি সংস্কৃত ‘শৈলী’ শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা এই তামাং ‘সেলো’ এর একটি সংকলনের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছে। অধ্যাপক শ্রদ্ধাঞ্জলি তামাং এর মতে, তামাঙ সেলো নেপালি ভাষায় রচিত হলেও তামাঙ ভাষার নিজস্ব প্রবচন ও বাগধারাগুলিও বজায় রাখা হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, সেলোগুলির বৈশিষ্ট্য হলো, সেগুলি ‘এমাইলে জাংখাইলালা’ (amailey jankhailala) নামক বিশেষ অংশ দিয়ে মা, প্রকৃতি মা এবং ভূমির আরাধনার মাধ্যমে আরম্ভ হয়। ‘সেলো’ নেপালি ভাষায় রচিত হলেও এই অংশটির মূল তামাং ভাষার অবিকৃত রূপ বজায় রাখা হয়েছে। এছাড়া তামাং সাহিত্যে ‘রাহমা’ (rahma) নামক একপ্রকার গানের উল্লেখ আছে, যা বিবাহ শুরু হওয়ার ঠিক আগে গহনা পরার সময় কন্যাকে নিজেকেই গাইতে হয়। ‘রাহমা’ এর তাল ও ছন্দ ‘হোয়াই’ এর থেকে সম্পুর্ণ পৃথক। লাম্বাদের মতে তামাং ভাষার নিজস্ব গান ও নাচ মহাদেবের সমকালীন। ‘ডাম্ফু’ (Damphu) তামাংদের প্রধান বাদ্যযন্ত্র, যা ঘোড়াল নামক হিমালয় পর্বতের হরিণের চামড়া দিয়ে পেং দোরজী (Peng Dorjee) নামক এক ব্যক্তি নির্মাণ করেছিলেন। তামাং জনজাতির মধ্যে দুই প্রকার নাচ প্রচলিত- ধর্মীয় উৎসব ও আচার অনুষ্ঠানের নাচ এবং সামাজিক ও অন্যান্য উৎসবের সঙ্গে সংযুক্ত নাচ। প্রথম প্রকারের নাচের মধ্যে ‘বাকপা নাচ’, ‘জীমবা নাচ’, ‘মাহরসো নাচ’, ‘বামবো নাচ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সামাজিক উৎসবের নাচগুলি হলো ‘হোয়াই স্যাবা’ এবং ‘ডাম্ফু নাচ’। বর্তমানে ডাম্ফু নাচ সেলো গানের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নতুন বছরের শুরুতে তামাং জনজাতি ‘সোনাম লোহছার’ (Sonam Lhochhar) নামক উৎসব পালন করে। তিব্বতি ক্যালেণ্ডার অনু্যায়ী বারোতম মাসের প্রথম দিনে এই উৎসব পালিত হয়। এই উৎসব প্রাচীনকালে একমাস ধরে পালিত হলেও পরবর্তীকালে পনেরো দিন ও বর্তমানে পাঁচদিন ধরে পালিত হয়।
খ্রিস্টান ধর্মের ক্রমবর্ধমান প্রভাব তামাং সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। বন ধর্ম থেকে বৌদ্ধ ধর্ম হয়ে খ্রিস্টান ধর্মে আসার প্রবণতাও বাড়ছে। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে তামাঙ জনজাতি ভারত পশিমবঙ্গ ও সিকিম সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় ভারত সরকার দ্বারা উপজাতি শংসাপত্র লাভ করে। মিশনারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষা তামাঙ সম্প্রদায়ের প্রাচীন ঐতিহ্যকে পিছনের সারিতে ঠেলে দিচ্ছে। এই ভাষা সিকিমের সরকারি ভাষা (২০০২) এবং নেপালে রাষ্ট্রভাষার (১৯৯০) মর্যাদা পেয়েছে। পশিমবঙ্গে দার্জিলিং এর সালেসিয়ান কলেজ (Salesian College) এ স্নাতক স্তরে পরিবর্ত বিষয় হিসেবে লেপচা ভাষার পঠনপাঠন শুরু হলেও তামাঙ ভাষার পঠনপাঠন এখনো শুরু হয়নি। দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের বহুভাষিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, সরকারি ভাষা হিসেবে নেপালি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষার একাধিপত্য, অন্য জাতি ও ভাষার মানুষের সঙ্গে বিবাহসম্পর্ক স্থাপনের প্রবণতা, শিশুদের মধ্যে মাতৃভাষা শিক্ষায় অনীহা- ইত্যাদি কারণে তামাং ভাষা ও সংস্কৃতির অবনমন ঘটছে।
Tamang, Anjana. THE TAMANG COMMUNITY IN SIKKIM: A HISTORICAL STUDY. School of Social Sciences, Sikkim University, 2016.
Tamang, Shradhanjali, INDIGENOUS ORAL HISTORY TRADITION IN DARJEELING AND SIKKIM HIMALAYAS. Salesian Journal of Humanities and Social Science, 2018
Dasgupta, Sayantan & Tamang, Shradhanjali. Tamang Selo: An Anthology, Annotated Text and English TRanslation, Vol 2. Jadavpur University Press, 2015.
Lama, ST. “Ethnographic Notes on Tamang”, Phyallow-Vol 2, All India Tamang Buddhist Association, Official Record (Unpublished), 1981-2000.