আও ভাষা

আও ভাষা সিনো-তিব্বতীয় ভাষাবংশের একটি ভাষা, যা মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত নাগাল্যান্ড রাজ্যে প্রচলিত একটি ভাষা হলেও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। মূলত নাগাল্যান্ডের আও-নাগা সম্প্রদায় এই ভাষা ব্যবহার করে। নাগাল্যান্ড রাজ্যের মোকোকচুং জেলা আও-নাগা সম্প্রদায়ের আদি বাসস্থান। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এই ভাষা ১০৪০০৩ জনের মাতৃভাষা। বর্তমানে আও-নাগা জনজাতির শিক্ষার হার ৬২ শতাংশ।

আও ভাষায় দুটি প্রকার লক্ষ্য করা যায়- মংসেন-আও এবং চুংলি-আও। এছাড়াও চাঙ্কি, টেংসা, দোরদার ইত্যাদি প্রকারও স্বল্প প্রচলিত। নাগা গ্রামগুলিতে মূলত মংসেন ও চুংলি-আও ব্যবহারকারীরা পাশাপাশি বসবাস করেন। ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান মিশনারি এডওয়ার্ড ডব্লিঊ ক্লার্ক সর্বপ্রথম ল্যাটিন লিপি ব্যবহার করে চুংলি-আও বর্ণমালা তৈরি করেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ কুপ মংসেন-আও ভাষার বর্ণমালার বিকাশ সাধন করেন। মংসেন-আও প্রকারটিতে ৬টি স্বরধ্বনি এবং ২৬টি ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে। অধিকাংশ সিনো-তিব্বতীয় ভাষার মতো আও ভাষাও ‘টোনাল’, এখানে হাই, মিড ও লো- এই তিনটি টোন রয়েছে। আও একটি SOV ভাষা যা ‘পোস্ট পজিশনাল’। বিশেষণ পদ সাধারণত বিশেষ্য পদের পরে বসে।

গ্রন্থপঞ্জী :

Clark, E. W. (1981). The Ao-Naga Grammar with Illustrations, Phrases and Vocabulary. Delhi: Gian Publications. (Original work published 1893).

Coupe, Alexander, R. (2003) A Phonetic and Phonological Description of Ao: A Tibeto-Burman Language of Nagaland, North-east India. Pacific Linguistics. Research School of Pacific and Asian Studies, The Australian National University.

পশ্চিমবঙ্গের ভাষাবৈচিত্র্য ড্যাশবোর্ড

ভাষা প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ

তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন বিভাগ

আও ভাষা

গ্রন্থপঞ্জী :

শীঘ্রই আসছে