মারিং ভাষা

মারিং ভাষা প্রধানত ভারতের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত মণিপুর রাজ্যের একটি জনজাতির ভাষা যা খোইবু ভাষার সঙ্গে নিকট সম্পর্কযুক্ত। এই দুটি ভাষাকে একত্রে ‘মারিঙ্গিক’ নামে অভিহিত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই ভাষার মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করেন। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এই ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ২৬০০০; তবে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম মানুষ এই ভাষাটি ব্যবহার করেন।

এই ভাষার মানুষদের আদি বাসভূমি মণিপুর রাজ্যের চান্দেল জেলার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ওই জেলার তেংনাউপোল অঞ্চলের উত্তর সীমায় পার্বত্য অঞ্চলে। এই ভাষা সিনো-তিব্বতীয় ভাষাগোষ্ঠির কুকিচিন-নাগা শাখার অন্তর্গত। প্রধানত মেইতেই লিপি এই ভাষায় লেখার কাজে ব্যবহৃত হয়। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এই ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৩০০০। সুতরাং এই ভাষার ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সেই কারণে ভাষাটির উপযুক্ত ডকুমেণ্টেশন জরুরী।

মারিং ভাষার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো লেক্সিকাল ও অ্যানালিটিকাল- এই দুই প্রকার কজেটিভের উপস্থিতি। লেক্সিকাল কজেটিভের ক্ষেত্রে নন-কজেটিভ স্ট্রাকচারের ক্রিয়ার স্থান পরিবর্তিত হয়ে একটি ভিন্ন রূপের জন্ম হয়। অ্যানালিটিকাল কজেটিভের ক্ষেত্রে কজেশন বোঝাতে তিনটি পৃথক মার্কার ব্যবহৃত হয়। এই তিনটি মার্কার হলো যথাক্রমে ‘তেউ’ (to do), ‘জুক’ (come down) এবং ‘কজা’ (allow/possible)।

গ্রন্থপঞ্জী :

Census of India, 2011

Census of India, 2001

Kumar, B.B. 2005 Naga Identity. New Delhi

Hudson, T.C. 2007 The Naga Tribes of Manipur. New Delhi