পশ্চিমবঙ্গের ভাষাবৈচিত্র্য ড্যাশবোর্ড

ভাষা প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ

তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন বিভাগ

গুরুং সংস্কৃতি

১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের ব্রিটিশ ডেমোক্রেটিক অ্যানড অ্যানথ্রোপলজিকাল ডাটা অনুযায়ী গুরুং জনজাতি ‘খাস-পার্বতিয়া’ নামক একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উপশাখা। তবে পরবর্তীকালে প্রচুর সংখ্যক তিব্বতীয় মানুষ গুরুং-তামাং পরিচয়কে গ্রহণ করে। সিকিম, নেপাল এবং পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের প্রসারের আগে এই সমস্ত অঞ্চলে নিজস্ব জনজাতির অ্যানিমিস্ট ধর্ম এবং টোটেম উপাসনার প্রথা প্রচলিত ছিলো। পরবর্তীকালে হিন্দু ও বৌদ্ধধর্ম এবং তিব্বতীয় সামানিজম-এর প্রচলন ঘটে। এরা জন্ম, মৃত্যু এবং বিবাহের অনুষ্ঠানগুলি বন-ধর্মের রীতি মেনে পালন করে। ফলে গুরুং জনজাতির সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার-আচরণে একটি মিশ্রিত বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। এই ভাষাটি বিপন্ন ভাষার তালিকাভুক্ত না হলেও এবং সিকিম রাজ্যে এটি সরকারি ভাষার মর্যাদা পেলেও পশ্চিমবঙ্গে গুরুং ভাষায় লেখাপড়া শেখার সুযোগ নেই। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার প্রধান সরকারি ভাষা নেপালি, হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজির ক্রমবর্ধমান প্রভাবে এবং গুরুং জনজাতির দ্বিভাষিক ও বহুভাষিক প্রবণতা এবং কোড-মিক্সিং ও কোড-সুইচিং এর কারণে গুরুং ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি ক্রমশ অবলুপ্ত হচ্ছে।

গ্রন্থপঞ্জী:

Census of India- 2011

Nakkerar,R. Gurung; Census of India

Viktor, S.D. 1974. The Organising Principles of Gurung Kinship

Warren, W.G. 1974. Semantic and Grammatical Structures in Gurung; SIL