১। উপরোক্ত ৮৬ শতাংশ বাংলা ভাষাভাষী মানুষ মান্য চলিত বাংলার নিরিখে সমসত্ত্ব বন্ধনে আবদ্ধ নয়। রাজ্যের বিভিন্ন পৃথক স্থানে কথ্য বাংলার বিভিন্ন রূপ দেখা যায়।
২। জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন মাতৃভাষার মোট সংখ্যা ৯১টি; যাদের মধ্যে মাত্র ৪টি ভাষা ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফশিলভুক্ত। বাকি যে ৮৭টি ভাষা তফশিলের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেগুলি রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩.৩৬ শতাংশের মাতৃভাষা।
৩। মেট্রোপলিটান অঞ্চলগুলি ছাড়া (২০১১ খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে আর্বানাইজেশন অর্থাৎ শহরের অঙ্গীভূত হওয়ার হার ৩১.৮৯ শতাংশ) ভাষাগত আত্তীকরণের বৈশিষ্ট্যগুলি পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যায়; যেখানে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষ বসবাস করেন এবং সেখানে ৮০টিরও অধিক অনতিবৃহৎ ভাষা-সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ভাষা-সম্প্রদায়ের অন্তর্গত যুবসমাজের একটি বড়ো অংশ বৈদ্যুতিন প্রযুক্তি যেমন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং এর সঙ্গে থাকা ক্যামেরা, শব্দ রেকর্ড করার পদ্ধতি ইত্যাদির ব্যবহারে অভ্যস্ত। যদি এই যুবসমাজ এবং স্কুলের উচ্চতর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পশিমবঙ্গের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যায় তাহলে তারা মোবাইল ফোনের বৈদ্যুতিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের ভাষা এবং পরিবেশজ্ঞানের পুনরুজ্জীবনের মহৎ দায়িত্ব পালনে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এই প্রোজেক্টটি পশ্চিমবঙ্গের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার একটি প্রয়াস; যা ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এন.এল.পি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ভাষাগত পরিকাঠামো গড়ে তোলা (স্পিচ ও টেক্সট করপাস)- ফেজ ১ এবং এস এন এল টি আর কর্তৃক একটি ওপেন-অ্যাক্সেস লিঙ্গুইস্টিক পোর্টালের জন্য একটি তথ্যনির্ভর ওয়েব-পোর্টাল গড়ে তোলার প্রোজেক্টের অন্তর্গত।
ড্যাশবোর্ড হলো একটি ইউজার=ইন্টারফেস যা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র-সম্বন্ধীয় তথ্যকে ধারণ, বিন্যাস এবং তথ্য আহরণের সুযোগ দেয়। ড্যাশবোর্ড ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ইন্টার্যাকটিভ প্লাটফর্ম হিসেবেও কাজ করে, যেখানে তথ্যকে আরও সক্রিয় এবং গতিশীল করে তোলে। পশ্চিমবঙ্গের ভাষাবৈচিত্র্য নির্দেশক ড্যাশবোর্ডটি এই রাজ্যের ভাষা-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সামগ্রিক আধার হিসেবে কাজ করবে।
এই ড্যাশবোর্ড ভাষা-সংরক্ষক ও নীতি প্রণয়নকারীদের এই রাজ্য-সংক্রান্ত তথ্যের উপর দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিতে এবং আঞ্চলিক স্তরে ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে সহায়তা করবে। চার্ট, গ্রাফ ও ম্যাপের সাহায্যে এই ভাষাবৈচিত্র্য নির্দেশক ড্যাশবোর্ড বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত তথ্যকে একত্রিত করে পশ্চিমবঙ্গের ভাষাসমূহের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করবে।
১।সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের ভাষাবৈচিত্র্যকে বজায় রাখা।
২। ভাষাবৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থা বজায় রাখা এবং পরিস্থিতির উন্নতিসাধন।
৩। ভাষাবৈচিত্র্যের উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
৪। ভাষাবৈচিত্র্য সংক্রান্ত ধারণা ও জ্ঞান-এর বৃদ্ধি।